কুরআনে বর্ণিত ফজিলতপূর্ণ শ্রেষ্ঠ দোয়া

ফজিলতপূর্ণ কিছু শ্রেষ্ঠ দোয়া

আল্লাহ তায়ালা নিকটে কিছু চাইলে তা তিনি ফিরিয়ে দেন না। কারণ এতে তিনি লজ্জাবোধ করেন। এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন- ‘বান্দা যখন আল্লাহর কাছে উভয় হাত তুলে কোনো দোয়া করে তখন তিনি খালি হাতে ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন।' (আবু দাউদ : ১২৭৩) জীবনে সফলতা আনতে হলে, ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে চাইলে আল্লাহ তায়ালার সাহায্য অবশ্যাম্ভাবী। আল্লাহ তায়ালার সাহায্যের জন্য প্রয়োজন প্রার্থনা বা দোয়া। এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন- ‘ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না দোয়া ছাড়া।' (ইবনে মাজাহ : ৮৭)

কুরআনে বর্ণিত ফজিলতপূর্ণ শ্রেষ্ঠ দোয়া

দোয়া ও প্রার্থনা

দোয়া শব্দটির আভিধানিক অর্থ ডাকা, চাওয়া, প্ৰাৰ্থনা করা ইত্যাদি। পরিভাষায় দোয়া হলো আদবের সাথে কাকুতি-মিনতিসহ আল্লাহ তায়ালার কাছে চাওয়া। দোয়া সম্পর্কে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন- ‘দোয়া হলো ইবাদত' (আবু দাউদ : ১২৬৪, তিরমিযি : ২৮৯৫) ‘দোয়া হলো ইবাদতের মগজ।' (তিরমিযি : ৩২৯৩, তবারানি : ৩৩২৪ ) আল্লাহ তায়ালা তাঁর কাছে বান্দাকে দোয়া করার আহ্বান জানিয়ে বলেন- ‘তোমরা আমাকে ডাক, তাতে আমি সাড়া দিব।' (মুমিন, ৪০ : 60 ) ‘তোমরা তাঁকে ভয় ও আশার সঙ্গে ডাক।' (আ'রাফ, ৭ : ৫৬) কেউ যদি কারো কাছে রূঢ় আচরণের মাধ্যমে কোনো সাহায্য-সহযোগিতা চায় তাহলে তা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তেমনিভাবে একাগ্রচিত্তে কাকুতি-মিনতিসহ আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করলে তা কবুল হয়। একাগ্রতার সাথে দোয়া না করলে তা কবুল না হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন- ‘তোমরা আল্লাহর নিকট প্রার্থনা কর এবং এই বিশ্বাস রাখ যে, তিনি তাঁর জবাব দেবেন। এবং জেনে রাখ যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা উদাসীন ও অমনোযোগী ব্যক্তির দোয়া কবুল করেন না।' (তিরমিযি : ৩৪০১) আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দার ডাকে সাড়া দেন। এ প্রসঙ্গে কুরআনুল কারীমে বলা হয়েছে- ‘প্রার্থনাকারী যখন আমার নিকট প্রার্থনা করে আমি তার প্রার্থনায় সাড়া দেই। সুতরাং তারাও আমার ডাকে সাড়া দিক এবং আমার প্রতি ঈমান আনুক, যাতে তারা ঠিক পথে চলতে পারে।' (বাকারা, ২ : ১৮৬)

আল্লাহ তায়ালাকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ডাকার আহ্বান

বান্দা তার প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালাকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ডাকার আহ্বান জানিয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘তোমরা বিনীতভাবে ও গোপনে তোমাদের প্রতিপালককে ডাক। তিনি সীমালংঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না।' (আরাফ, ৭ : ৫৫) সুখে-দুঃখে, শুয়ে-বসে সর্বদা আল্লাহ তায়ালাকে ডাকতে হবে। কুরআনুল কারীমে বলা হয়েছে- ‘মানুষকে যখন দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করে তখন সে শুয়ে, বসে অথবা দাঁড়িয়ে আমাকে ডাকে। অতঃপর আমি যখন তার দুঃখ-দৈন্য দূরীভূত করি, সে এমন পথ অবলম্বন করে, যেন তাকে যে দুঃখ দৈন্য স্পর্শ করেছিল তার জন্য সে আমাকে ডাকেই নাই। (ইউনুস, ১০ : ১২)

আল কুরআনে উল্লেখিত দৈনন্দিন পঠিত গুরুত্বপূর্ণ কতিপয় দোয়া নিম্নে দেওয়া হলো-

১. সহজ সরল পথে চলার জন্য দোয়া ‘আমাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন কর। তাদের পথ যাদেরকে তুমি অনুগ্রহ দান করেছ, তাদের পথ নয় যারা ক্রোধ-নিপতিত ও পথভ্রষ্ট।' (ফাতিহা, ১ : ৫-৭) ২. সালাত প্রতিষ্ঠাকারী বানানোর দোয়া এ দোয়া হযরত ইব্রাহিম (আলাইহিস সালাতু ওয়াসাল্লাম) করেছিলেন ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে সালাত কায়েমকারী কর এবং আমার বংশধরদের মধ্য হতেও। হে আমাদের প্রতিপালক! আমার প্রার্থনা কবুল কর।' (ইব্রাহিম, ১৪ : ৪০) ৩. জ্ঞান বৃদ্ধির দোয়া নিম্নের দোয়া মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) করেছিলেন ‘হে আমার রব! আমাকে জ্ঞান দিয়ে সমৃদ্ধ কর।' (তহা, ২০ : ১১৪) ৪. মু ৪. মুখের জড়তা দূর করার দোয়া নিম্নের দোয়া হযরত মূসা (আলাইহিস সালাতু ওয়াসাল্লাম) করেছিলেন “হে আমার প্রতিপালক আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দিন। আমার জিহ্বার জড়তা দূর করে দিন, যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে।' (তহা, ২০ : ২৫-২৮)

৫. দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ কামনার দোয়া ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের দুনিয়াতে কল্যাণ দাও ও আখেরাতে কল্যাণ দাও এবং আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি হতে রক্ষা কর।' (বাকারা, ২ : ২০১) ৬. গুনাহ মাফের দোয়া এ দোয়া হযরত আদম ও হাওয়া করেছিলেন ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা নিজেদের প্রতি অন্যায় করেছি, যদি তুমি আমাদেরকে ক্ষমা না কর এবং দয়া না কর তবে তো আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব।' (আরাফ, ৭ : ২৩) ৭. নেক সন্তান লাভের দোয়া এ দোয়া হযরত ইব্রাহিম (আলাইহিস সালাতু ওয়াসাল্লাম) করেছিলেন ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাকে এক সৎকর্মপরায়ণ সন্তান দান কর।' (সাফফাত, ৩৭: ১০০ ) ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান কর যা হবে আমাদের জন্য নয়নপ্রীতিকর এবং আমাদেরকে কর মুত্তাকীদের জন্য অনুসরণযোগ্য।' (ফুরকান, ২৫ : ৭৪) ৮. ভুলের জন্য ক্ষমা ও সাধ্যাতীত কাজ থেকে বেঁচে থাকার দোয়া ‘হে আমাদের প্রতিপালক! যদি আমরা বিস্মৃত হই অথবা ভুল করি তবে তুমি আমাদেরকে পাকড়াও করো না। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর যেমন গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেছিলে আমাদের উপর তেমন দায়িত্ব অর্পণ করো না। হে আমাদের প্রতিপালক! এমন ভার আমাদের উপর অর্পণ করো না যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই। আমাদের পাপ মোচন কর, আমাদেরকে ক্ষমা কর, আমাদের প্রতি দয়া কর, তুমিই আমাদের অভিভাবক। সুতরাং কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করো।' (বাকারা, ২ : ২৮৬) ৯. হেদায়াত পাওয়ার পর পুনরায় গোমরাহী থেকে বেঁচে থাকার দোয়া ‘হে আমাদের প্রতিপালক! সরল পথ প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে সত্য লংঘনপ্রবণ করো না এবং তোমার নিকট হতে আমাদেরকে করুণা দান কর, নিশ্চয়ই তুমি মহাদাতা।' (আলে ইমরান, ৩ : ৯)

১০. শয়তানের প্ররোচনা থেকে বেঁচে থাকার দোয়া 'হে আমার প্রতিপালক! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি শয়তানের প্ররোচনা থেকে।' (মুমিনূন, ২৩ : ৯৭) ১১. পিতা-মাতার জন্য দোয়া হে আমার প্রতিপালক! তাদের উভয়ের প্রতি দয়া কর যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে প্রতিপালন করেছিল।' (বনী ইসরাঈল, ১৭ : ২৪) ‘হে আমাদের প্রতিপালক! যেদিন হিসাব অনুষ্ঠিত হবে সে দিন আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং মুমিনগণকে ক্ষমা কর। (ইব্রাহিম, ১৪ : ৪০-৪১ ) ১২. স্থলযানে পড়ার দোয়া ‘পবিত্র ও মহান তিনি যিনি এদেরকে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন, যদিও আমরা সমর্থ ছিলাম না এদেরকে বশীভূত করতে। আমরা আমাদের প্রতিপালকের নিকট অবশ্যই প্রত্যাবর্তন করব।' (যুখরুফ, ৪৩ : ১৪ ) ১৩. জলযানে পড়ার দোয়া ‘আল্লাহর নামে এর গতি ও স্থিতি, আমার প্রতিপালক অবশ্যই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।' (হূদ, ১১ : ৪১) ১৪. যালেম বাদশাহর নির্যাতন থেকে পরিত্রাণের দোয়া ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ধৈর্য দান করুন, আমাদের পা অবিচলিত রাখুন আর আমাদেরকে কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সাহায্য করুন।' (বাকারা, ২: 250 ) ‘হে আমাদের প্রতিপালক! এ জনপদ যার অধিবাসী যালেম, তা হতে আমাদেরকে অন্যত্র নিয়ে যাও; তোমার নিকট হতে কাউকে অভিভাবক কর এবং তোমার নিকট হতে কাউকে আমাদের সহায় কর।' (নিসা, ৪ : ৭৫) নিম্নের দোয়া হযরত মূসা = করেছিলেন- ‘হে আমার রব! আপনি আমাকে যালিম সম্প্রদায় থেকে রক্ষা করুন।' (কাসাস্, ২৮ : ২১) ‘আমরা একমাত্র আল্লাহর উপর নির্ভর করলাম, হে আমাদের প্রতিপালক আপনি আমাদেরকে যালেম সম্প্রদায়ের উৎপীড়নের পাত্র বানাবেন না। আর আপনার অনুগ্রহে আমাদেরকে কাফের সম্প্রদায় থেকে রক্ষা করুন। (ইউনুস, ১০ : ৮৫-৮৬) নিম্নের দোয়া হযরত নূহ (আলাইহিস সালাতু ওয়াসাল্লাম) করেছিলেন- ‘আমি তো অসহায়, অতএব তুমি প্রতিবিধান কর।' (কামার, ৫৪ : ১০)

১৫. নেয়ামত পেয়ে যে দোয়া করতে হয় এ দোয়া হযরত সুলাইমান(আলাইহিস সালাতু ওয়াসাল্লাম) করেছিলেন ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে সামর্থ্য দিন যাতে আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি আমার প্রতি ও আমার পিতা মাতার প্রতি আপনি যে অনুগ্রহ করেছেন তার জন্য এবং যাতে আমি সৎকর্ম করতে পারি, যা আপনি ভালোবাসেন এবং আপনার অনুগ্রহে আমাকে আপনার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের শ্রেণিভুক্ত করুন। (নামল, ২৭ : ১৯) ১৬. অসুস্থতা থেকে মুক্তির জন্য দোয়া এ দোয়া হযরত আইউব (আলাইহিস সালাতু ওয়াসাল্লাম) করেছিলেন- ‘আমি দুঃখ কষ্টে পড়েছি, আর আপনিতো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।' (আম্বিয়া, ২১ : ৮৩) ১৭. ঈমানের ঘোষণা ও পরকালে লাঞ্ছনা থেকে মুক্তির দোয়া ‘হে আমাদের প্রতিপালক! কাউকে তুমি জাহান্নামে নিক্ষেপ করলে তাকে তো তুমি নিশ্চয়ই লাঞ্ছিত করলে এবং যালিমদের কোনো সাহায্যকারী নেই। হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা এক আহ্বায়ককে ঈমানের দিকে আহ্বান করতে শুনেছি ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আন' সুতরাং আমরা ঈমান এনেছি।' হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদের পাপ ক্ষমা কর, আমাদের মন্দ কাজগুলি দূরীভূত কর এবং আমাদেরকে সৎকর্মপরায়ণদের সহগামী করে মৃত্যু দিও। ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তোমরা রাসূলগণের মাধ্যমে আমাদেরকে যা দিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছ তা আমাদেরকে দাও এবং কিয়ামতের দিন আমাদেরকে হেয় কর না। নিশ্চয়ই তুমি প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম কর না।' (আলে ইমরান, ৩ : ১৯২-১৯৪)

১৮. ভালো লোকদের সঙ্গী হওয়ার দোয়া ‘হে আমার প্রতিপালক ! আমাকে জ্ঞান দান কর সৎকর্মপরায়ণদের শামিল কর।' (শুআরা : ৮৩) ১৯. বিপদে পতিত হলে যে দোয়া করতে হয় ‘আমরা তো আল্লাহরই এবং নিশ্চিতভাবে তাঁর দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী।' (বাকারা, ২ : ১৫৬) নিম্নের দোয়া হযরত ইউনুস করেছিলেন *তুমি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি, নিশ্চয়ই আমি যালেমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছি।' (আম্বিয়া, ২১ : ৮৭) ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের হতে শাস্তি দূর কর, অবশ্যই আমরা ঈমান আনব।' (দুখান, ৪৪ : ১২) ২০. আল্লাহ তায়ালার গুণকীর্তনের জন্য দোয়া এ রকম যত দোয়া আছে তার মধ্যে আয়াতুল কুরসি অন্যতম- ‘আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক। তাকে তন্দ্রা বা নিদ্রা স্পর্শ করে না। আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্ত তাঁরই। কে সে, যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর নিকট সুপারিশ করবে? তাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে যা কিছু আছে তা তিনি অবগত। যা তিনি ইচ্ছা করেন তদ্ব্যতীত তার জ্ঞানের কিছুই তারা আয়ত্ত করতে পারে না। তার ‘কুরসি' আকাশ ও পৃথিবীময় পরিব্যাপ্ত; এদের রক্ষণাবেক্ষণ তাঁকে ক্লান্ত করে না; আর তিনি মহান, শ্রেষ্ঠ।' (বাকারা, ২ : ২৫৫) ২১. জাহান্নামের আযাব থেকে মুক্তির দোয়া ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের হতে জাহান্নামের শাস্তি বিদূরিত কর, এর শাস্তি তো নিশ্চিত বিনাশ।' (ফুরকান, ২৫ : ৬৫)

পরিশেষে

বাস্তবজীবনে সফলতা অর্জনের জন্য আল্লাহ তায়ালার সাহায্যের বিকল্প নেই। আর আল্লাহ তায়ালার সাহায্যের জন্য তার কাছে প্রার্থনা করতে হবে। সকল নবী-রাসূল আল্লাহ তায়ালার নিকট দোয়া করতেন যা কুরআনে বর্ণিত হয়েছে ও উম্মাতদেরকে দোয়া করার পদ্ধতিও শিক্ষা দিয়েছেন। কুরআন ও হাদীসে বিভিন্ন দোয়া ও তাসবিহ সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা রয়েছে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url