সর্বশক্তিমান আল্লাহর পরিচয় (পর্ব-০১)

সর্বশক্তিমান আল্লাহর পরিচয়

আল্লাহর আব্বা নেই, আম্মা নেই ৷ আল্লাহর স্ত্রী নেই, পুত্র নেই, কন্যা নেই । আল্লাহ তখনো ছিলেন যখন আর কেউ ছিলো না, আর কিছু ছিলো না । আল্লাহ তখনো থাকবেন যখন আর কেউ থাকবে না, আর কিছু থাকবে না । অর্থাৎ আল্লাহ চিরকাল ছিলেন, চিরকাল আছেন, চিরকাল থাকবেন । আল্লাহ ধ্বংসের ঊর্ধ্বে । আল্লাহ ছাড়া সব কিছুই ধ্বংসশীল। আল্লাহর ক্ষুধা নেই, পিপাসা নেই ৷ আল্লাহ কিছু খান না । আল্লাহ কিছু পান করেন না । আল্লাহর তন্দ্রা নেই, নিদ্ৰা নেই । আল্লাহ অন্যমনস্ক হন না। আল্লাহ কিছু ভুলে যান না ৷ আল্লাহকে কোন সৃষ্টি দেখতে পায় না । কিন্তু সকল কিছু তাঁর দৃষ্টির অধীন। আল্লাহর দৃষ্টির বাইরে কোন কিছুই থাকা সম্ভব নয়।

সর্বশক্তিমান আল্লাহর পরিচয় (পর্ব-০১)

মহাবিশ্বের সর্বত্র কর্তৃত্ব আল্লাহ তায়ালার

আল্লাহ একই সময়ে মহাবিশ্বের সকল প্রাণী, বস্তু ও শক্তি দেখতে পান। আল্লাহ সব কিছুই শুনেন । মহাবিশ্বের সর্বত্র উচ্চারিত প্রতিটি কথা ও উত্থিত প্রতিটি আওয়াজ তিনি একই সময়ে শুনতে পান । আল্লাহ একচ্ছত্র সম্রাট । মহাবিশ্ব আল্লাহর সাম্রাজ্য। এই সাম্রাজ্যের মালিকানায় ও পরিচালনায় তাঁর কোন অংশীদার নেই । আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন । প্রতিটি প্রাণী, বস্তু ও শক্তি অস্তিত্ব লাভের জন্য ও টিকে থাকার জন্য তাঁর মুখাপেক্ষী । আল্লাহ সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। মহাবিশ্বের সর্বত্র তাঁর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত ।

আল্লাহ মহাজ্ঞানী

আল্লাহ মহাজ্ঞানী । আল্লাহর জ্ঞান সীমাহীন । আল্লাহ সর্ব শক্তিমান । আল্লাহর শক্তি সীমাহীন । আল্লাহ সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা । আল্লাহর সৃষ্টি-ক্ষমতার শেষ নেই । আল্লাহ জীবন দেন । আল্লাহ মৃত্যু দেন । আল্লাহ জীবিত থেকে মৃতকে এবং মৃত থেকে জীবিতকে বের করেন। আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কারো ওপর বিপদ-মুছীবাত আসতে পারে না । আল্লাহর ক্ষমতা অ-প্রতিরোধ্য । আল্লাহ যদি কারো কল্যাণ করতে চান তাতে বাধ সাধবার শক্তি কারো নেই। আল্লাহ যদি কারো অ-কল্যাণ করতে চান তা প্রতিরোধ করার শক্তি কারো নেই।

আল্লাহ সর্ব-বিজয়ী

আল্লাহ সর্ব-বিজয়ী, মহা পরাক্রমশালী। আল্লাহ সূক্ষ্মদর্শী । আল্লাহ মহাবিজ্ঞ । আল্লাহ পরম দয়ালু, করুণাময়। আল্লাহ শাস্তি দাতাও। আল্লাহর পাকড়াও অত্যন্ত কঠিন। আল্লাহ সার্বভৌম সত্তা । আদেশ-নিষেধের সর্বোচ্চ ও চূড়ান্ত ক্ষমতা একমাত্র তাঁর । আল্লাহর বিধানই চূড়ান্ত আইন । আল্লাহ যা ইচ্ছা তা-ই করতে পারেন। আল্লাহ যা ইচ্ছা তা-ই সৃষ্টি করতে পারেন, করেন। আল্লাহ কোন কিছু সৃষ্টি করতে চাইলে বলেন "হও”, আর অমনি তা হয়ে যায়। আল্লাহ শূন্য থেকে বা অনস্তিত্ব থেকে সৃষ্টি করতে পারেন।আল্লাহ যা করেন তার জন্য কারো কাছে জওয়াবদিহি করতে হয় না ৷ অন্য সবাইকে তাঁর নিকট জওয়াবদিহি করতে হয়। আল্লাহ সকল মৌলিক পদার্থ সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ সকল যৌগিক পদার্থ সৃষ্টি করেছেন । আল্লাহ মহাবিশ্বের প্রতিটি অণু-পরমাণুর স্রষ্টা । তিনি শ্রেণী মতো পরমাণুগুলোকে সংযুক্ত কিংবা সংমিশ্রিত করে বিভিন্ন বস্তুসত্তার অস্তিত্ব গড়ে তোলেন । আল্লাহ প্রথমে আসমান ও পৃথিবীকে যুক্ত অবস্থায় সৃষ্টি করেন, পরে এইগুলোকে পৃথক করে দেন। আল্লাহ সময়ের ছয়টি অধ্যায়ে মহাবিশ্ব সৃষ্টি করে আরশে সমাসীন হয়েছেন। আল্লাহ মহাবিশ্বকে সাতটি স্তর বা অঞ্চলে বিন্যস্ত করেছেন। আল্লাহর নির্দেশেই আসমান ও পৃথিবী সু-প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। আল্লাহ মহাকর্ষ বল সৃষ্টি করে এর দ্বারা মহাবিশ্বের সকল কিছুকেই একটি ভারসাম্যপূর্ণ সুদৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ করে রেখেছেন। আল্লাহ মহাবিশ্বের সকল কিছুর আকার, আয়তন ও গতিপথ নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। আল্লাহ প্রত্যেকটি জিনিস সৃষ্টি করে প্রত্যেকটিকে তার করণীয় জানিয়ে দিয়েছেন। আসমান ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর ফরমানের অধীন। আল্লাহ সূর্য ও চাঁদকে এমন নিয়মের অধীন করে রেখেছেন যার ফলে পৃথিবীতে একের পর এক বিভিন্ন ঋতুর আবির্ভাব ঘটে, রাত দিনের আবর্তন ঘটে এবং মানুষ মাস ও বছরের হিসাব রাখতে পারে।

আল্লাহ আলো,আঁধার এবং ছায়া সৃষ্টি করেছেন।

আল্লাহ আলো সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ আঁধার সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ ছায়া সৃষ্টি করেছেন । আল্লাহ পৃথিবী-পৃষ্ঠে পাহাড়-পর্বত গেড়ে দিয়েছেন যাতে পৃথিবী আপন পথে চলতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে হেলে দুলে না পড়ে। আল্লাহ ভূ-পৃষ্ঠকে বাসোপযোগী ও আবাদযোগ্য বানিয়েছেন। আল্লাহ পৃথিবীর চারদিকে বায়ুর একটি পুরু বেষ্টনী সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ ঘনীভূত অক্সিজেনময় ওজোন (ozone) স্তর সৃষ্টি করে তেজষ্ক্রিয় মহাজাগতিক রশ্মিকে ভূ-পৃষ্ঠে পৌঁছতে বাধাগ্রস্ত করেছেন । আল্লাহ পৃথিবীকে মাটি সম্পদ, বন-সম্পদ, ঘাস-সম্পদ, উদ্ভিদ সম্পদ, লতা-গুল্ম সম্পদ, পানি সম্পদ, সামুদ্রিক উদ্ভিদ সম্পদ, মাছ সম্পদ, পাখি সম্পদ, পশু সম্পদ, তাপ-বিদ্যুৎ সম্পদ, খনিজ সম্পদ ইত্যাদি সম্পদে ভরপুর করেছেন ।

আল্লাহ মাটির গভীরে সোনা, রূপা, হীরা, সৃষ্টি করেছেন

আল্লাহ মাটির গভীরে সোনা, রূপা, হীরা, লোহা, তামা, কয়লা, পেট্রোল, গ্যাস ইত্যাদি সম্পদ মওজুদ করে রেখেছেন । আল্লাহ ভূ-পৃষ্ঠে গাছ-গাছালির খাদ্য হবার উপযোগী বহু জৈবিক উপাদান মওজুদ করে রেখেছেন। আল্লাহ পৃথিবীর মাটিকে শস্য ফলানো, শাক-সবজি ফলানো, গাছ জন্মানো ও নানা প্রকারের গাছে নানা আকারের নানা রঙের নানা স্বাদের ফল ফলানোর উপযোগী বানিয়েছেন। আল্লাহ পৃথিবীর বুকে নদ-নদী ও সাগর-মহাসাগর সৃষ্টি করে সেইগুলোকে পানির রিজার্ভারে পরিণত করেছেন। আল্লাহ নদ-নদী ও সাগর-মহাসাগরকে অফুরন্ত মাছ সম্পদে পরিপূর্ণ করেছেন। আল্লাহ সাগর-মহাসাগরের গভীরে বিচিত্র ধরনের প্রাণী, মণি-মুক্তা, সৌন্দৰ্য- শোভার অন্যান্য উপকরণ ও সামুদ্রিক উদ্ভিদ মওজুদ করে রেখেছেন। আল্লাহ পানি সৃষ্টি করেছেন এবং এটিকে যমীনকে সিক্ত করা, প্রাণীর পিপাসা মেটানো ও দানা-বীজকে অংকুরিত করার গুণ দান করেছেন। আল্লাহ আগুন সৃষ্টি করেছেন এবং এটিকে তাপ ও আলো বিতরণের গুণ দান করেছেন ।

আল্লাহ বিদ্যুৎ শক্তি সৃষ্টি করেছেন

আল্লাহ বিদ্যুৎ শক্তি সৃষ্টি করেছেন এবং এটিকে বিভিন্ন যন্ত্র চালানো ও বালবের ভেতর সঞ্চালিত হয়ে আলো ছড়ানোর গুণ দান করেছেন । আল্লাহ পানি থেকে বাষ্প, বাষ্প থেকে মেঘ ও মেঘ থেকে বৃষ্টি সৃষ্টি করেন । আল্লাহর নির্দেশে বায়ু প্রবাহিত হয়, বায়ুতে ভর করে মেঘ দেশ-দেশান্তরে ছড়িয়ে পড়ে ও মেঘ থেকে বৃষ্টি নামে

আল্লাহ তায়ালা এ বিশ্বজগতের অধিপতি ও মালিক

আল্লাহ তায়ালা এ বিশ্বজগতের অধিপতি ও মালিক। তিনি একক ও অদ্বিতীয় সত্তা। তাঁর কোনো শরিক নেই। তিনি অনন্য ও অতুলনীয়। আল্লাহ শব্দের মধ্যেই তাঁর তুলনাহীন বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়। (আল্লাহ) আরবী শব্দ। পৃথিবীর কোনো ভাষাতেই এ শব্দের কোনো প্রতিশব্দ নেই । আল্লাহ শব্দটি সৃষ্টিকর্তার 'ইসমে যাত' বা সত্তাবাচক নাম । আল্লামা তাফতাযানীর বর্ণনা মতে- ‘আল্লাহ' শব্দটি ঐ চিরন্তন সত্তার সত্তাবাচক নাম, যাঁর অস্তিত্ব অবশ্যম্ভাবী এবং যিনি সমস্ত প্রশংসনীয় ও উত্তম গুণাবলির অধিকারী। আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে যত নবী রাসূল প্রেরণ করেছেন। তাঁদের সকলেই এক ও অদ্বিতীয় প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করার আহ্বান জানিয়েছেন। যে কালিমা পড়ে মুসলমান হতে হয় তার প্রথমাংশে ঘোষণা করা হয় যে- “আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই।' মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)এর উপর নাযিলকৃত প্রথম ওহীতে আল্লাহ তায়ালা নিজের পরিচয় উল্লেখ করেছেন এভাবে- পড় তোমার প্রতিপালকের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট বাঁধা রক্তপিণ্ড হতে।পড়, তোমার প্রতিপালক মহামহিমান্বিত, যিনি কলমের সাহায্যে জ্ঞান শিখিয়েছেন। মানুষকে জ্ঞান শিখিয়েছেন, যা সে জানতো না।' (আলাক, ৯৬ : ১-৫) পবিত্র কুরআনুল কারীম শুরু করা হয়েছে আল্লাহ তায়ালার পরিচয় দিয়ে। আল কুরআনের ভাষায়- 'দয়াময় পরম দয়ালু আল্লাহর নামে । সকল প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই, যিনি দয়াময়, পরম দয়ালু, কর্মফল দিবসের মালিক। আমরা শুধু তোমারই ইবাদত করি, শুধু তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি, আমাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন কর, তাদের পথ যাদেরকে তুমি অনুগ্রহ করেছ, তাদের পথ নয় যারা ক্রোধ নিপতিত ও পথভ্রষ্ট।' (ফাতিহা, ১ : ১- ৭) আল্লাহ শব্দের কোনো একবচন বা বহুবচন নেই। এ শব্দের কোনো স্ত্রীলিঙ্গ বা পুংলিঙ্গ নেই। তিনি তাঁর সত্তা ও গুণাবলিতে একক ও অদ্বিতীয়। তাঁর সমতুল্য বা সমকক্ষ কিছুই নেই। আল্লাহ তায়ালার পরিচয়ে সূরা ইখলাসে বলা হয়েছে— বল, তিনিই আল্লাহ, এক অদ্বিতীয়, আল্লাহ কারও মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী; তিনি কাউকেই জন্ম দেননি এবং তাঁকেও জন্ম দেওয়া হয়নি এবং তাঁর সমতুল্য কেউই নেই।' (ইখলাস, ১১২ আল্লাহ তায়ালা স্বয়ংসম্পূর্ণ সত্তা। তিনি অনাদি ও অনন্ত। তিনি চিরস্থায়ী ও চিরবিরাজমান। তিনি পানাহার, নিদ্রা, তন্দ্রা, ক্লান্তি সবকিছু থেকে মুক্ত। আয়াতুল কুরসীতে আল্লাহ তায়ালার পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে এভাবে- 'আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক । তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না। আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবকিছু তাঁরই।কে সে, যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর নিকট সুপারিশ করবে? তাদের সামনে ও পিছনে যা কিছু আছে তা তিনি অবগত; যা তিনি ইচ্ছা করেন তা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কিছুই তারা আয়ত্ত করতে পারে না । তাঁর ‘কুরসী' আকাশ ও পৃথিবীময় পরিব্যাপ্ত; এদের রক্ষণাবেক্ষণ তাঁকে ক্লান্ত করে না; আর তিনি মহান, শ্রেষ্ঠ।' (বাকারা, ২ : ২৫৫) আল্লাহ তায়ালা সকল গুণের আধার। সকল গুণ তাঁর মধ্যে পূর্ণমাত্রায় বিদ্যমান। তিনি সৃষ্টিকর্তা। বিশ্বজগৎ ও এর মধ্যে যা কিছু রয়েছে সবই তাঁর সৃষ্টি। তিনি রিযিকদাতা, তাই সকল সৃষ্টিই রিযিকের জন্য তাঁর মুখাপেক্ষী। তিনিই সর্বশক্তিমান, সবকিছুরই নিয়ন্ত্রক। সকল কিছুই তাঁর পরিচালনায় সুন্দর ও সুশৃংখলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এককথায় তিনি সর্বগুণে গুণান্বিত। তাঁর গুণের কোনো সীমা নেই। সুন্দর ও পবিত্র নামসমূহ একমাত্র তাঁরই জন্য নির্ধারিত। পবিত্র কুরআনুল কারীমে বলা হয়েছে- তিনিই আল্লাহ, তিনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই, তিনি অদৃশ্য ও দৃশ্যের পরিজ্ঞাতা; তিনি দয়াময়, পরম দয়ালু।তিনি আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তিনিই অধিপতি, তিনিই পবিত্র, তিনিই শান্তি, তিনিই নিরাপত্তা বিধায়ক, তিনিই রক্ষক, তিনিইপরাক্রমশালী, তিনিই প্রবল, তিনিই অতীব মহিমান্বিত। তারা যাকে শরিক স্থির করে আল্লাহ তা হতে পবিত্র, মহান । তিনিই আল্লাহ সৃজনকর্তা, উদ্ভাবক, রূপদাতা, সকল উত্তম নাম তাঁরই। আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে, সমস্তই তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে । তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।' (আল-হাশর, ৫৯ : ২২-২৪ ) সুন্দর সুন্দর নাম সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে আরো বলেন- ‘আল্লাহর জন্য রয়েছে সুন্দর সুন্দর নাম। অতএব তোমরা তাঁকে সে সকল নামেই ডাকবে, যারা তাঁর নাম বিকৃত করে তাদেরকে বর্জন করবে, তাদের কৃতকর্মের ফল তাদেরকে দেওয়া হবে।' (আরাফ, ৭ : ১৮০ ) বিশ্বজগতের সকল প্রশংসার দাবীদার একমাত্র আল্লাহ তায়ালা। তাঁর কোনো অভিভাবকের অস্তিত্ব নেই বরং তিনিই সবার অভিভাবক । কুরআনুল কারীমে বলা হয়েছে- 'বল, প্রশংসা আল্লাহরই যিনি কোনো সন্তান গ্রহণ করেননি, তাঁর সার্বভৌমত্বে কোনো অংশী নেই এবং যিনি দুর্দশাগ্রস্ত হন না যে কারণে তাঁর অভিভাবকের প্রয়োজন হতে পারে। সুতরাং সসম্ভ্রমে তাঁর মাহাত্ম্য ঘোষণা কর।' (বনী ইসরাঈল, ১৭ : ১১১ )

পরিশেষে

তিনিই আল্লাহ সৃজনকর্তা, উদ্ভাবক, রূপদাতা, সকল উত্তম নাম তাঁরই। আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে, সমস্তই তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে । তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।'

Next Post Previous Post
1 Comments
  • নামহীন
    নামহীন ৫ ডিসেম্বর, ২০২২ এ ৩:২০ PM

    very nice

Add Comment
comment url