দুর্নীতি বে-ইনসাফি উন্নতির অন্তরায়

দুর্নীতি বে-ইনসাফি উন্নতির অন্তরায়

দুর্নীতি ও বে-ইনসাফি উন্নতির অন্তরায় হলো একটি পরিবেশ যেখানে মানবাধিকার, ন্যায্যতা এবং সমানতা বহন করা হয় না। যখন কোনও ব্যক্তি বা সম্প্রদায় অন্য কে ধারণ করে একটি সৃষ্টিতে বা নির্মাণশীল বাণিজ্যিক কারখানায় কাজ করে বা নির্বাচনে হাঁটার সময় নির্বাচন পদ্ধতিতে বিপদজনক পদক্ষেপ নিয়ে থাকে, তখন দুর্নীতি ও বে-ইনসাফি উন্নতির অন্তরায় সৃষ্টি হয়। একটি সমাজ যখন দুর্নীতি এবং বে-ইনসাফি বহন করে, তখন তার অর্থনৈতিক উন্নয়ন অবনত হয়। অন্যদিকে, ন্যায্যতা এবং সমানতা বহন করার সাথে সাথে সমাজের সকল সদস্যকে সমানভাবে উন্নয়নের সুযোগ থাকে। দুর্নীতি ও বে-ইনসাফি থেকে মুক্তি পেতে একটি সমগ্র কর্মসূচি প্রয়োজন।

 দুর্নীতি ও বে-ইনসাফি উন্নতির অন্তরায়

দুর্নীতি উন্নতির অন্তরায়

দুর্নীতি শব্দটি নেতিবাচক। এটির ইতিবাচক শব্দ ‘নীতি । যার অর্থ রীতিবিরুদ্ধ আচরণ, কুনীতি, অসদাচরণ ও নীতিহীনতা। ব্যক্তিজীবনের সকলপর্যায়ে ঘুষ, বলপ্রয়োগ বা ভীতি প্রদর্শন বা ব্যক্তিবিশেষের অবৈধ ও অসংগত সুবিধা গ্রহণ এবং নীতিবিরুদ্ধ সকল কাজকেই দুর্নীতি বলা হয়। ব্যক্তিগত বা সামষ্টিক স্বার্থ হাসিলের জন্য ক্ষমতার অপব্যবহারকেও দুর্নীতি বলে অভিহিত করা হয়। দুর্নীতির সাথে যুক্ত থাকে পেশা, ক্ষমতা, পদবি, স্বার্থ, নগদ অর্থ, বস্তুসামগ্রী প্রভৃতি। দুর্নীতি সর্বগ্রাসী সামাজিক ব্যাধি হিসেবে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে। দুর্নীতির কারণে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন, দারিদ্র্যবিমোচন, শিক্ষা সম্প্রসারণ, মানব উন্নয়ন প্রভৃতি ক্ষেত্রে উন্নয়ন চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে । ইসলামের দৃষ্টিতে নীতিবিরুদ্ধ যে কোনো কাজই দুর্নীতি এবং মারাত্মক অপরাধ। কুরআনুল কারীমে এটিকে ফাসাদ উল্লেখ করে বলা হয়েছে- “তারা পৃথিবীতে ফাসাদ সৃষ্টি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, অথচ আল্লাহ তায়ালা ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের কখনই পছন্দ করেন না।' (মায়িদা, ৫ : ৬৪) দুর্নীতির বহুবিধ কারণ থাকতে পারে। অতিলোভের কারণে অনেকে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে উপরি আয়ের চেষ্টা করে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ ফাইলের কাজের বিনিময়ে ঘুষ, বকশিশ, কমিশন, চা-নাশতা বাবদ খরচ, দ্রব্যসামগ্রী প্রভৃতি আদায় করে থাকে। কখনো এসব দুর্নীতিবাজ ফাইল আটকিয়ে রেখে ঘুষ গ্রহণ করে। মূলত বিলাসীজীবন বা উচ্চাকাঙ্ক্ষার নেশা ও স্বল্প সময়ে অধিক সম্পদের মালিক হওয়ার প্রত্যাশা পূরণ দুর্নীতিবাজে পরিণত করে। এ সকল লোকের বৈধ উপার্জনের সাথে জীবনযাত্রা পরিচালনার কোনো মিল পাওয়া যায় না । জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামের আদর্শ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে খুব সহজে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সম্ভব। যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করে এবং আখেরাতের প্রতি যার দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে, সে কখনও দুর্নীতি করতে পারে না। এ বিশ্বাসই তাকে দুর্নীতি হতে ফিরিয়ে রাখে যে, গাঢ় অন্ধকার বা কোনো নিভৃত ঘরে ক্ষমতা বা দাপট দেখিয়ে দুর্নীতি করলেও তা এ পৃথিবীর কোনো কিছুই তাঁর দৃষ্টির বাইরে নয়। একজন খাঁটি মুসলমান এ বিশ্বাস করে যে, দুনিয়ার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে ও প্রতিটি কাজের রেকর্ড রাখা হচ্ছে। তাই দুনিয়াতে দুর্নীতি করে পার পেলেও পরকালে সে অবশ্যই ধৃত হবে। এ বোধ ও চেতনাই মানুষকে দুর্নীতি হতে ফিরিয়ে রাখে। এ জন্য ইসলাম প্রথমত ব্যক্তির মন-মানসিকতায় এ প্রত্যয় সৃষ্টি করে যে, যত সংগোপনে দুর্নীতি করুক না কেন, আল্লাহ তায়ালা তা দেখছেন। এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন- *তারা কি মনে করে যে, আমি তাদের গোপন বিষয় ও মন্ত্রণার খবর রাখি না? নিশ্চয় তা আমি তাদের খবর রাখি, আমার নিয়োজিত ফেরেশতাগণ তো তাদের সব কিছু লিপিবদ্ধ করে রাখে।' (যুখরুফ, ৪৩ : ৮০) এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন- ‘এটা আমার কিতাব, যা তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে সত্যতাসহকারে। তোমরা যা করতে তা আমি লিপিবদ্ধ করেছিলাম।' (জাসিয়া, ৪৫ : ২৯) দুনিয়ায় যারা আল্লাহকে ভয় করে না, আখেরাতের জবাবদিহিতায় বিশ্বাস করে না, এ পৃথিবীর জীবন ছাড়া আর কিছুই নেই বলে মনে করে। দুনিয়াবী সম্পদ, জনপ্রিয়তা ও ক্ষমতা লাভের উপর ভিত্তি করে জীবনের সফলতা বা বিফলতা নির্ধারণ করে। তারা নীতি নৈতিকতার পরোয়া না করে উচ্ছৃংখল জীবন-যাপন করে। হীন লক্ষ্য ও নিজ স্বার্থ অর্জনের জন্য তারা যে কোনো ধরনের দুর্নীতি করতে পিছপা হয় না। এ সকল লোকের দুর্নীতি ও কুকর্মে সমগ্র পৃথিবীতে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়ে উল্লেখ করে আল্লাহ তায়ালা বলেন- 'মানুষের কৃতকর্মের দরুন জল ও স্থলে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়ে। ফলে তিনি তাদেরকে তাদের কোন কোন কর্মের শাস্তি তিনি আস্বাদন করান যাতে তারা ফিরে আসে।' (রূম, ৩০ : ৪১) যে ব্যক্তি কেবল পার্থিব সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, লোভ-লালসা, ভোগ এবং সুযোগ- সুবিধাকেই প্রাধান্য দেয় সে ব্যক্তি কখনো নৈতিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত হয়ে অবৈধ কাজ পরিত্যাগ করতে পারে না। এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘তাদের হৃদয় আছে কিন্তু তা দ্বারা তারা তা উপলব্ধি করে না, তাদের চক্ষু আছে কিন্তু তদ্বারা তারা তা দেখে না, তাদের কর্ণ আছে কিন্তু তা দ্বারা তারা শ্রবণ করে না। এরা পশুর মত বরং এর চেয়েও পথভ্রষ্ট। এরাই হলো বিপদগামী।' (আরাফ, ৭ : ১৭৯) সমাজ ও ধর্মীয় জীবনে দুর্নীতির ক্ষতিকর প্রভাব সুদূরপ্রসারী। যে সমাজ দুর্নীতিতে ছেয়ে যায় সে সমাজে একে অন্যের দ্বারা প্রতারিত হয়। দুর্নীতিবাজও অন্যের দুর্নীতির শিকারে পরিণত হয়। ন্যায্য অধিকারের বঞ্চনা দুর্নীতিপ্রবণ সমাজেরই চিত্র। এর কারণে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়; সততা, আদর্শ এবং মূল্যবোধ লোপ পেতে থাকে। তাই দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টি ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে ইসলামের আদর্শের অনুসরণের বিকল্প নেই।

বে-ইনসাফি উন্নতির অন্তরায়

বে-ইনসাফি আরবী আদল শব্দের বিপরীত অর্থে ব্যবহৃত হয়। ইসলামী শিক্ষা, বিধান, সর্বজয়ী মূল্য ও মহিমা তথা ইনসাফের বিপরীত শব্দ হলো বে-ইনসাফি। এর অর্থ কারো উপর অন্যায় করা, অবিচার করা ইত্যাদি। অন্যায়ভাবে কারো উপর বে-ইনসাফ করা মারাত্মক অপরাধ । বে-ইনসাফির কারণে ব্যক্তিগত জীবন হতে সামাজিক, জাতীয়, আন্তর্জাতিক সকল ক্ষেত্রে শান্তি-শৃংখলা, নিরাপত্তা, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। এর কারণে ব্যক্তি ও সামজিকপর্যায়ে মারাত্মক অবক্ষয় সৃষ্টি হতে পারে। আর একমাত্র আল্লাহর নির্দেশিত পথে চললেই মানুষ বে-ইনসাফির হাত হতে রক্ষা পেতে পারে। পৃথিবীতে নবী ও রাসূলগণকে প্রেরণের মূল উদ্দেশ্য ছিল যাবতীয় বে-ইনসাফি মূলোৎপাটন করে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা। আল্লাহ্ তায়ালা বলেন- 'আমি নিশ্চয় আমার রাসূলদের কিছু সুস্পষ্ট প্রমাণসহ প্রেরণ করেছি, তাদের সাথে দিয়েছি কিতাব ও ন্যায়নীতি, যাতে মানুষ ইনসাফের উপর প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।' (হাদীদ, ৫৭ : ২৫) যার প্রাপ্য তাকে না দেওয়া এক প্রকার বে-ইনসাফি। একে অবিচার হিসেবে অভিহিত করা যায়। অবিচার হলো বড় যুলুম। অবিচারের মাধ্যমে নিরপরাধ ব্যক্তিগণ তাদের অধিকার হতে বঞ্চিত হয়। বে-ইনসাফি একটি অসৎ গুণ । সমাজে সর্বত্র বে-ইনসাফি প্রতিষ্ঠিত থাকলে সেখান থেকে শান্তি ও নিরাপত্তা চলে যায়। দয়াময় আল্লাহর রহমত থেকে মানুষ বঞ্চিত হয়। অন্যয় কাজ করার প্রবণতা বাড়ে। সর্বত্র অসৎ মানুষের কৃতিত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। বে-ইনসাফিমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে কর্মক্ষেত্রের আন্তরিক পরিবেশ নষ্ট হয়। এরূপ কর্মকাণ্ডের কারণে সহকর্মীদের মধ্যে অনাস্থা ও অসন্তোষ বিরাজ করে। প্রাতিষ্ঠানিক শৃংখলা দুর্বল হয়ে পড়ে। জনশক্তি কাজে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। সুতরাং সকল অবস্থায় বে-ইনসাফিমূলক কর্মকাণ্ড হতে বিরত থাকা সকলের নৈতিক দায়িত্ব। আল্লাহ তায়ালা সর্বাবস্থায় বে- ইনসাফি পরিহার করে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দিয়ে বলেন- ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণের নির্দেশ দেন।' (নাহল : ৯০) নবী করিম এর প্রতিষ্ঠিত সমাজব্যবস্থা ছিল সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও সবার প্রতি সমঅধিকারের ভিত্তিতে সর্বগ্রাহ্য উন্মুক্ত। তাঁর প্রতিষ্ঠিত সমাজ ব্যবস্থায় বে-ইনসাফির কোনো দৃষ্টান্ত খুঁজে পাওয়া যাবে না। রাসূল যে ইনসাফের মূলনীতি বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থাপন করে গেছেন, তার ভিত্তি ছিল পবিত্র কুরআনুল কারীমের নির্দেশনা। আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর জন্য সত্য ও ন্যায়ের উপর সাক্ষী হয়ে অবিচলভাবে দণ্ডায়মান থাকো। কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি দুশমনি বা ঘৃণাবশত এমনভাবে প্রভাবিত হইও না, যাতে তোমরা ন্যায় ও ইনসাফ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ো। ইনসাফ রক্ষা করো, কারণ এই কাজ আল্লাহকে ভয় করে চলার অধিকতর নিকটবর্তী।' (মায়িদা, ৫ : ৮) নবী করিম(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর বিনির্মিত সমাজব্যবস্থায় ইনসাফের মানদণ্ডে ধনী-গরিব, মুসলিম-অমুসলিম, শাসক ও শাসিত সবাই সমান সুযোগ পেত। কারো প্রতি কখনো বে-ইনসাফি করা হতো না। সুযোগ-সুবিধা গ্রহণে সাধারণ কোনো ব্যক্তি ও রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে কোনো পার্থক্য নির্ণয় করা হতো না । নবী করিম এর নির্মিত সামাজিক চিত্র খুলাফায়ে রাশেদা ও পরবর্তী যুগ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। মুসলিম জাহানের শাসক হযরত উমর শাসনামলে একদিনের ঘটনা। একদিন তিনি মক্কা শরীফের কোথাও যাচ্ছিলেন। তিনি দেখতে পেলেন যে, চাকর-বাকররা মুনিবের সাথে খেতে বসেনি বরং একপাশে তারা দাঁড়িয়ে রয়েছে। তিনি রাগাম্বিত হয়ে মুনিবের উদ্দেশে বলেন, ‘ব্যাপার কি! নিজেদের ভৃত্যদের সাথে এরূপ বৈষম্যমূলক ব্যবহার করা হচ্ছে কেন?' অতঃপর তিনি ওই ভৃত্যদের ডেকে মনিবের সাথে ভোজনে বসিয়ে দেন। চৌদ্দশত বছর আগে কুরআন এবং রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নির্দেশগুলো সামনে রেখে এমন একটি ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মিত হয়েছিল, যেখানে বিচারের মানদণ্ডে ধনী-দরিদ্র, বন্ধু-দুশমন, মুসলিম-অমুসলিম, শাসক ও শাসিত সবাইকে সমভাবে গ্রহণ করা হতো পক্ষপাতহীন ইনসাফের তুলাদণ্ডে। বিচারক ছিলেন সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন; এবং কেউই এমনকি রাষ্ট্রপ্রধানও আইনের ঊর্ধ্বে ছিলেন না। সাধারণ কোনো ব্যক্তি এবং খলিফার মধ্যে যদি কোনো ব্যাপারে বিরোধ সৃষ্টি হতো, নিজ নিজ সাক্ষ্যপ্রমাণসহ দুজনকেই বিচারকের দরবারে হাজিরা দিয়ে ফয়সালা গ্রহণ করতে হতো। ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে, মুসলমানদের স্বর্ণযুগে যেখানে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত ছিল, সেখানে সর্বত্রই এই নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা কার্যকর ছিল।

পরিশেষে বলা যায়

দুর্নীতির কারণে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়; সততা, আদর্শ এবং মূল্যবোধ লোপ পেতে থাকে। তাই দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টি ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে ইসলামের আদর্শের অনুসরণের বিকল্প নেই। চৌদ্দশত বছর আগে কুরআন এবং রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নির্দেশগুলো সামনে রেখে এমন একটি ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মিত হয়েছিল। ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে, মুসলমানদের স্বর্ণযুগে যেখানে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত ছিল, সেখানে সর্বত্রই এই নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা কার্যকর ছিল।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url